চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ (৯৪১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ১০ হাজার ৬৮ কোটি। পুরো নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে নভেম্বর  বা ডিসেম্বরে ১৬ দিনের রেমিট্যান্স বেশি না হলেও কিছুটা ইতিবাচক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়। রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ ও রেমিট্যান্স পাঠাতে টাকার উৎস জিজ্ঞাসা করার প্রথা বন্ধ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ব্যাংকভিত্তিক রেমিট্যান্স আসা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডিসেম্বরের ১৬ দিনে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে। বেসরকারি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেও যথারীতি কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে। এগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, উরি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে বরাবরই ব্যাংকগুলো পিছিয়ে।