শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংস্থাগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিতে হবে

সাজ্জাদ হোসাইন

সংস্থাগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিতে হবে

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হলে ঘরে থাকা অটোসার্কিট পড়ে যায়। তখন বিদ্যুৎ সংযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গ্যাস লিকেজ হলে এ রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি আমাদের নেই, যেটা দিয়ে এক স্থান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা যায়। একই সঙ্গে আমাদের সার্ভিস লেনগুলোর সঠিক ম্যাপ নেই। কোন জায়গা দিয়ে কোন সার্ভিস লেন গেছে সেটার তথ্য নেই কোনো সংস্থার কাছে, যে কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের প্রাণহানি ঘটে বেশি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ সার্ভিস লেনগুলোর সঠিক ম্যাপ এবং সব ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, রাজধানীতে প্রায়ই ঘটছে গ্যাস লাইনের সংযোগ থেকে বিস্ফোরণ। কখনো রাস্তায় সঞ্চালন লাইন থেকে বিস্ফোরণ হচ্ছে, আবার কখনো বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। বাসাবাড়িতে নিম্নমানের তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। নির্মিত ভবনগুলোর অবস্থা জানার জন্য আমাদের ‘ম্যাপিং’ নেই। ম্যাপিং হলে বোঝা যাবে, মাটির নিচে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, স্যুয়ারেজ লাইন কীভাবে আছে, কতটুকু ঝুঁকিতে আছে। দুই বছর আগে মগবাজারে একটি চারতলা ভবন ধসে পড়েছিল বিস্ফোরণে। ওই ঘটনা ঘটে মূলত জমে থাকা মিথেন গ্যাস থেকে। জমে থাকা গ্যাসে কোনোভাবে বিদ্যুতের সংস্পর্শ বা আগুনের স্পর্শ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। বারবার বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোর দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে বারবার দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধের পাশাপাশি লাইনের নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। শুধু সরকারি উদ্যোগ এবং তদারকি দিয়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না। সবাইকে (ভবন মালিক ও মনিটরিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা) আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

 

সর্বশেষ খবর