বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিনই মেডিকেল বোর্ডের কোনো না কোনো সদস্য তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নিয়মিত চেক-আপসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে তাঁকে আবারো হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। ‘রুটিন চেকআপ’এর জন্য তাঁকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছু টেস্ট করান। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এই টেস্টগুলোর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর আগে বেগম জিয়া ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারও আগে একটানা ১৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত বছরের ২৪ জুন বাড়ি ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। তখন হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদযন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর একই বছরের জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কয়েকটি শর্তে তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। তারপর কয়েক দফা তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।