আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী- এরা কোনো দিন এ দেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তাঁর স্বাধীন করা বাংলাদেশে কোনো মানুষ অন্ন-বস্ত্রের কষ্টে থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। প্রত্যেক মানুষের জীবনমান আমরা উন্নত করব।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। সেটা ধরেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিক্ষা-দীক্ষায়, প্রযুক্তিজ্ঞানে একটি স্মার্ট জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হবে। এ দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবেই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলবে। জাতির পিতার জন্মদিনে এটা আমাদের আজ প্রতিজ্ঞা। দলের নেতা-কর্মীদেরও সেভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মেরিনা জামান কবিতা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের গত ১৪ বছরের উন্নয়ন ও সফলতার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের চিত্র জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তুলে ধরার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণে ও স্বার্থে কাজ করে। দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা করার তা সব আওয়ামী লীগই করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ ভালো থাকলে বিএনপি মনঃকষ্টে থাকে। কারণ তারা কোনো দিনই চায়নি দেশের উন্নতি হোক। তারা সব সময় দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। দেশের জনগণ এদের কাছ থেকে কিছুই পায়নি।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ নাকি শেষ করে দিয়েছি। চোখ থাকতে অন্ধ হলে তাকে তো কিছু দেখানো যায় না। ভাঙা রেকর্ডের মতো বিএনপি বলেই যাচ্ছে, এ সরকার কিছুই করেনি। এই যে এত রাস্তাঘাট, এত উন্নয়ন, আজকে খাদ্যের অভাব নেই। বারো মাস সবকিছু খেতে পাচ্ছেন। টমেটো, শিম, ফুলকপিসহ অনেক কিছু এখন বারো মাসই পাওয়া যাচ্ছে। সেটি তো আমরা গবেষণা করে উদ্যোগ নিয়েই করে দিয়েছি। সেগুলো খেতে খুব ভালো লাগে কিন্তু বদনামটা করার সময় গাল ভরে বলে যায়। আমার মনে হয়, এদের সেই প্রশ্নটা করা উচিত। খেয়েদেয়ে নাদুসনুদুস হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে একখান মাইক লাগিয়ে সারা দিন কথা বলেই যাচ্ছে। আমি জানি না, এত মিথ্যা কথা কোথা থেকে আসে তাদের।’ বিএনপির অপপ্রচারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা নাকি দেশের কোনোই উন্নয়ন করিনি, সবকিছু ফোকলা ও ধ্বংস করে দিয়েছি! আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। মেট্রোরেল করেছি, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করছি। এক দিনে ১০০ সেতু, ১০০ রাস্তা নির্মাণ কোন সরকার করতে পেরেছে? এসব কি উন্নয়ন না? চোখ থাকতেও কেউ অন্ধ হয়ে থাকলে তাদের কিছুই চোখে পড়ে না।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আমলে দেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা ৬ লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট দিয়েছি। দেশের উন্নয়ন না হলে এত বড় বাজেট কীভাবে দিলাম!’
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে শিক্ষার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত করেছি, ২ লাখ ৫৩ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দিচ্ছি। বাংলাদেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমরাই প্রথম দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। প্রতিটি বিভাগেই আমরা একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। দেশ যদি উন্নতি না হয় তবে এসব আমরা করছি কীভাবে?’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সারা দেশে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই হয়েছে। নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। এ কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্যাভাব দেখা দিলেও এখনো বাংলাদেশ ভালো আছে। বাংলাদেশে কোনো মানুষের খাদ্যের কোনো অভাব আমরা হতে দিইনি। এসব কী উন্নয়ন নয়? অথচ এই বিএনপিই আমরা যখন দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করলাম, তখন বলেছিল, এটা ভালো না, বিদেশ থেকে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। আসলে তারা দেশকে ভিক্ষুকের জাতি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কারণ তাদের নীতিই হচ্ছে দুর্নীতি, মানুষের অর্থ-সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া।’
পঁচাত্তরের পর থেকে ছিয়ানব্বই পর্যন্ত এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়ে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছিয়ানব্বইতে যা অর্জন করেছিলাম, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শুধু তা ধ্বংসই করেনি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সারা দেশে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো নৃশংস হত্যাকান্ড, বাড়িঘর ভাঙচুর, মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়াসহ নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত।’
সরকারপ্রধান বলেন, এরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এ জন্য যখনই ক্ষমতায় এসেছে, মানুষের জন্য কিছুই করেনি। জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া এদের তো শেকড় নেই। যত খুনখারাবি, হত্যা-ষড়যন্ত্র তাদের রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে বিএনপি। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই সৃষ্টি, এমনকি তারা প্রটেকশন দিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে। খালেদা জিয়ার সরকার পুলিশ দিয়ে তাদের পাহারা দেয়। ক্ষমতায় থেকে তারা পাঁচবার দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দেশ ধ্বংস করে আবার ১ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। মানুষ মেনে নেয়নি। ভোট চুরির অপরাধে দেশের মানুষ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতায় থেকে নামিয়েছিল। তাদের কারণেই দেশে ইমারজেন্সি আসে। বিএনপি নেতারা ক্ষমতায় থেকে এ দেশের মানুষকে কী দিয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনী ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সর্বস্তরের মানুষের হাতে আমরা মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছি।’ দেশের চিকিৎসাসেবায় সরকারের বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে বেসরকারি খাতে চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না। যন্ত্রপাতি আনতে অনেক খরচ হতো। আমি শুল্ক কমিয়ে দিয়ে বেসরকারি চিকিৎসা উৎসাহিত করেছি। তারা (খালেদা জিয়া) সেসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার বলেন, আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি।’
আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সামনে রমজান মাস, মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তবে এটা আমাদের সবাইকে নজর রাখতে হবে, কেউ যেন খাদ্য মজুদ বা কালোবাজারি করতে না পারে। তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ১ কোটি মানুষকে পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য দিচ্ছি। ৫০ লাখ পরিবারকে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে চাল প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। প্রয়োজন হলে আরও ৫০ লাখ মানুষকে এর আওতায় আনব। আমরা দেশের কোনো মানুষকে কষ্টে থাকতে দেব না।’ এ সময় বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সরকারের উন্নয়ন অর্জন তুলে ধরার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের বিপুল অর্থবিত্ত কীভাবে হলো সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর ৪০ দিন পর্যন্ত দেখানো হলো জিয়া কিছুই রেখে যাননি। জিয়াউর রহমানের প্যান্ট ছোট করে নাকি তারেক ও কোকোকে পরানো হতো। একটা ভাঙা সুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জি রেখে গেলেন। তাহলে সরকারে আসতে না আসতেই কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক এরা হলো?’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কাদের টাকা চুরি করা হলো? চুরি তো চুরি, সে চুরি আবার ধরা পড়ল আমেরিকার এফবিআইর হাতে। ধরা পড়ল সিঙ্গাপুরে জুয়া খেলতে গিয়ে। আমরা অবশ্য ৪০ কোটি টাকা ফেরত আনতে পেরেছি। এখনো বিএনপি নেতাদের বহু টাকা বিভিন্ন জায়গায় ফ্রিজ করা আছে। তাহলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কাদের টাকা? জনগণের টাকাই এরা পাচার করেছে। আর জনগণকে এরা কী দিয়েছে? গ্রেনেড হামলা, গুলি, খুন, হত্যা ছাড়া আর কিছু দিয়ে যেতে পারেনি। তাদের ভাঙা সুটকেস তো জাদুর বাক্সে পরিণত হয়ে গেল। সেখান থেকে ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে, লঞ্চ হচ্ছে।’
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের গৃহ উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমরা কাজ করি জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে। কাজেই জনগণের যেন মঙ্গল হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করি। আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বলব, আমরা যে কাজগুলো করছি, এটি অন্তত মানুষের ঘরে ঘরে বলতে হবে। কারণ এরা (বিএনপি-জামায়াত) এই একটি মিথ্যা বারবার বলে, সেই মিথ্যাটাকেই সত্য করতে চায়।’
বিএনপির আমলে দেশের মানুষ কী পেয়েছে প্রশ্ন রেখে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আমলে মানুষ কী পেয়েছে? খাবারের জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গেছে। কানসাটে নয়জনের মতো মানুষ মেরেছিল। শ্রমিক ন্যায্য মজুরি চেয়েছিল বলে ১৭ জন শ্রমিককে রমজান মাসে গুলি করে হত্যা করেছিলেন খালেদা জিয়া। সার চেয়েছিল বলে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিলেন। তাদের তো এই রেকর্ড। তারা তো এসব কান্ডই করে গেছেন। আর আজকে কারও সার চাইতে হয় না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার আওয়ামী লীগ সেটিই করে। আর মানুষ ভালো থাকলে বিএনপি-জামায়াতের কষ্ট হয়।’