সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সনদ আনতে গিয়ে লাশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আফসানা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

এমএস সার্টিফিকেট আনা হলো না ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমির (২৬)। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার থেকে এমএস করেছেন। আফসানার এই সার্টিফিকেট আনাই যেন কাল হলো। এসব কথা বলে চিৎকার করে আর্তনাদ করছেন আফসানার মা কানিজ ফাতেমা। তার আহাজারিতে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোট বেলাই আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা। পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে গোপালগঞ্জের আফসানা মিমিসহ নয়জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গোপালগঞ্জে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অন্যরা হলো- গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস, সদর উপজেলার বনগ্রামের মোস্তাক শেখ (৪০), মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের মাসুদ খান (৩০), সদর উপজেলার ছুটফা গ্রামের সজীব শেখ (২৭), গোপিনাথপুর গ্রামের হেদায়েত মিয়া বাহার (৪২), টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কবীর হোসেন (৫০)। পরিবহন ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন। তবে, তারা নিশ্চিত করতে পারেননি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর