শিরোনাম
সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চালক শুনছিলেন না কারও কথাই

মাদারীপুর প্রতিনিধি

‘হঠাৎ কি যে হলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে হলো মাথায় আসমান ভেঙে পড়তাছে। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে রেখে আল্লাহকে ডাকছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই সব ঘটে গেল।’

বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী আনোয়ারা বেগম (২৫) এবং তার শিশুপুত্র সাজ্জাদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারের পর অনেকটা হতবিহ্বল তিনি। কিছুক্ষণ পর ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠলেন এবং সন্তানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। আলাপচারিতায় তিনি জানান, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুতগতিতে চলছিল। চালক কারো কথাই শুনছিলেন না। কিছুক্ষণ পরই পদ্মা সেতু। এমন আলোচনা করছিল যাত্রীরা। হঠাৎ করেই গাড়িটি রাস্তা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছিল। ওই সময় শুধু সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছিলাম।’ আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে ভোর ৬টায় গাড়িতে উঠি। ঢাকার ধানমন্ডি বড় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হয় জ্ঞান ছিল না। গাড়ির মধ্য থেকে কে বা কারা বের করে আনছে তা মনে নাই। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে এখনো।’ আনোয়ারা বেগমের শিশুপুত্র সাজ্জাদকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, ‘আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। মায়ের কোলের মধ্যে ছিলাম’। বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসা গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম মোল্লারহাটের গারফা গ্রামের তাহিম মোল্লার স্ত্রী। শিশুপুত্রকে নিয়ে সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনায় বিহ্বল তিনি। বারবার আল্লাহকে ডাকছেন এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ৮টার দিকে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকার ঢাকাগামী লেনে ইমাদ পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে উল্টে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। হাসপাতালে মারা যান আরও পাঁচজন। হতাহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, শিবচর থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

সর্বশেষ খবর