বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না এটা পরিষ্কার। কারণ, তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারা দেশে তাদের প্রার্থীদের জামানত খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে; পাশাপাশি তাদের সব অপকর্মের বিচার হবে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতেই তারা বারবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, দেশে এক নায়কতন্ত্রের শাসনামলের এই সময় বিরোধী জোটের বা বিএনপির যে সব নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের সঙ্গে জনগণের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আজকের এই ক্রিটিকাল মুহূর্তে আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের এগিয়ে এসে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান অদক্ষ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের বাইরেও দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

এগুলো রোধ করার জন্য সরকার নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এ ফ্যাসিস্ট সরকার গুজব ছড়ানোর ওস্তাদ। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তাদের চরিত্রহনন করা হচ্ছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। খসরু বলেন, গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করতে তাদের (সরকারের) পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে সত্য কথা বললে, দেশ ও জনগণের কথা বললে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা জনগণ ও গণমাধ্যমকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। আজও আমরা দেখতে পেয়েছি, বিএনপি বিভিন্ন এলাকায় তাদের সাংগঠনিক সভা সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি কি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন? আমরা কি কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপ করতে পারব না?