রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

হলে নিয়ে নির্যাতন দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে হলে জিম্মি করে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তারা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক জনি হাসান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কলেজের নর্থ হলের ১২০ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীরা মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। মামলায় আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্ণব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, মো. রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন।

ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন,   চাঁদা না পেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এজাহারে মামলার বাদী মো. মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, তিনি সিগমাইন্ড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন। অভিযুক্তরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এবং ভুক্তভোগী মেহেদীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যান। খুলে নিয়ে আসা ক্যামেরা ফেরত পেতে হলে তাকে ঢাকা কলেজে যেতে বলেন ছাত্রলীগ নেতারা। এরপর তৌকির নামে এক কর্মচারীকে ঢাকা কলেজে পাঠান মেহেদী। ক্যামেরা ফেরত নিতে আসা তৌকিরকে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভেগী মেহেদী ঢাকা কলেজের নর্থ হলে এলে তাকেও জিম্মি করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। রাতে মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে মেহেদীর অবস্থা বেগতিক দেখে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা কলেজ থেকে বের করে নিউমার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে কৌশলে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এ সময় নিউমার্কেট থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মেহেদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী বাদী হয়ে জনি হাসান, এস এম শফিকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

সর্বশেষ খবর