মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাণিজ্য সচিব

শ্রম খাতের অগ্রগতি জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি খুব দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করবে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত নতুন শ্রম নীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় করণীয় নির্ধারণে সুবিধাভোগীদের মতামত নিতে এই সভাটি করা হয়। শ্রম খাতের কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বাংলাদেশের গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় যে ঘাটতি আছে সভায় সেগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম প্রমুখ। সভা শেষে বাণিজ্য সচিব বলেন, শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে যা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তাছাড়া আরও কি করে শ্রমিক কল্যাণ বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু শর্ত ছিল। তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রচলিত আইনে একটি কারখানায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের ইতিবাচক মতামত পেলে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ১০ শতাংশ শ্রমিকের মতামত থাকলেই ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দিতে হবে। সংশোধিত শ্রম আইনে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের মতামতের ভিত্তিতে ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেপজার কারখানায় ট্রেড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন করার যে বিধি আছে, যুক্তরাষ্ট্র তা পরিবর্তন করে সরাসরি ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রাখতে বলেছে। সুবিধাভোগীদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব। সচিব জানান, দেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে চলতি মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে তিন সচিবের (থ্রি প্লাস ফাইভ) বৈঠক রয়েছে। এ বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ছাড়া পররাষ্ট্র ও শ্রম সচিব অংশ নেবেন। এ ছাড়া আইএলও প্রতিনিধিও থাকবেন। ওই সভায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।

সর্বশেষ খবর