বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, প্রথম স্বাধীনতার জন্য যদি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক। শেখ হাসিনা সারা দেশে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। তাই এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। প্রত্যেকটি হত্যা ও অন্যায়ের বিচার করবে বিএনপি।
গতকাল দুপুরে নাটোর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জেলা বিএনপি আয়োজিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, নিজেকে জনপ্রিয় ও দেশের উন্নয়নের রূপকার দাবি করা শেখ হাসিনা শুধু দেশকেই নয়, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে পালিয়ে যাওয়ায় এখন দেশে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা-চিহ্নও নেই। ভোটারবিহীন সন্ত্রাসীদের হাসিনা এমপি বানিয়েছিল, তাদেরকেও বিপদে রেখে গেছেন। এসব এমপি জনগণের টাকা মেরে বিশাল অট্টালিকা বানিয়েছে। বিদেশে বাড়ি করেছে, তারা আজ দেশ থেকে পালিয়েছে। তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর নাটোরের মানুষ কথা বলতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে। আমি টাকা তুলতে পারিনি, খরচ করতে পারিনি। নাটোরের মানুষ আমাকে চাল পাঠিয়েছে, মাছ পাঠিয়েছে, সবজি পাঠিয়েছে তা দিয়ে আমি চলেছি। আর আওয়ামী লীগ নেতারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা, চাকরি দেওয়ার নামে মেথরের টাকা, শিক্ষক নিয়োগের টাকা, জমির টাকা, চাঁদা তুলে টাকা নিয়ে বিদেশে বাড়ি কিনে। আমি বাবার জমিতে এমপি থাকার সময় সামান্য তিন তলার একটি বাড়ি বানিয়েছি। তাও তারা ভেঙে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা আপনারা হিন্দু ভাইদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য তাদের পাশে থাকবেন। জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সাবেক পৌর মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবিসহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।