কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনা কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ বিষয়ে ভারত বলছে, পাকিস্তান আতঙ্কিত হয়ে এসব করছে। সূত্র : এনডিটিভি, জিও নিউজ, রয়টার্স।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কাশ্মীর বিরোধ কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই গতকাল দ্বিতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাক বাহিনী জানিয়েছে, উৎক্ষেপণ করা এই ‘ফাতাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছিল ১২০ কিলোমিটার। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাসদস্যদের
অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন ব্যবস্থা ও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাতের প্রযুক্তিগত পরিমিতি যাচাই করাও ছিল এর উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, দুই দিন আগে পাকিস্তান ৪৫০ কিলোমিটার দূরপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। তবে, দুটি পরীক্ষাই ঠিক কোথায় চালানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেনি দেশটির সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে ভারতীয় পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ওপর ভারত কখন আক্রমণ চালায়- এই আতঙ্কে দেশটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আত্মতুষ্টি পেতে চাইছে। এ ছাড়া তাদের কাছে যুদ্ধ করার মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা এই মুহূর্তে নেই। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করছে, পাকিস্তান বর্তমানে গোলাবারুদের মারাত্মক সংকটে ভুগছে। গোলন্দাজ বাহিনীর হাতে কামানের গোলা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে মাত্র চার দিন টিকে থাকারও অবস্থা তাদের নেই। সংস্থাটি ভারতীয় সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গত তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে বিপুল সংখ্যায় হাতিয়ার ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে ইসলামাবাদ। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্রের জোগান দিয়েছে পাক সরকার। এসব কারণেই তারা গোলবারুদের সংকটে ভুগছে।