অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল এ আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় রবিবার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
শুনানির সময় কে এম নূরুল হুদা আদালতকে বলেছেন, বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য কমিশনকে দায়ী করা যায় না। ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নির্বাচন দেখার সুযোগ নেই। এ ছাড়া দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না বিচারকের এমন প্রশ্নে ‘না’ সূচক জবাব দেন। এ সময় আদালত নূরুল হুদাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন মনে করেন কি না। উত্তরে তিনি ‘না’ বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফ্যাসিজমে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এরা সেদিন মানুষ ও জনতার পক্ষে থাকলে হাসিনা এত বড় ফ্যাসিস্ট হতো না। তার আমলে ২০১৮ সালে সবাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তারা জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নির্বাচনের সময় কমিশন ডিসি-ইউএনওদের অর্ডার দিয়ে রাতে ভোট দিয়েছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজিব নূরুল হুদার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে সব ধারাই জামিনযোগ্য।
আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী বলেন, নূরুল হুদা মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে মেজর জলিলের নেতৃত্বে সাব কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন। তার নেতৃত্বে পটুয়াখালী জেলা হানাদার মুক্ত হয়েছে।