আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ সতর্ক করেছেন—অতিরিক্ত টেস্ট আয়োজন কিছু দেশকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে দিতে পারে। বরং মানসম্পন্ন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট আয়োজনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আইসিসি সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তর কাঠামোর প্রস্তাব বিবেচনার জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এতে লাল বলের ক্রিকেট কম খেলা দেশগুলোকেও নির্দিষ্ট সূচিতে টেস্ট খেলার নিয়মের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।
গ্রিনবার্গ বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে স্বল্পতা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়। আমি মনে করি না যে, প্রতিটি দেশকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। জোর করে সবাইকে টেস্ট খেলাতে গেলে কিছু দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে।”
তিনি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের মতো বড় সিরিজে আরও বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাম্প্রতিক ইংল্যান্ড-ভারতের পাঁচ ম্যাচের সিরিজের কথা উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টেস্টেই ১৩৩ রানের বেশি ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৩৫৯ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। এসব ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে কিছুই ছিল না বলে মন্তব্য করেন গ্রিনবার্গ।
তিনি বলেন, “আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে সেখানে, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে এবং তা অর্থবহ।”
টেস্ট ক্রিকেটের এই সংকটের পেছনে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ ও ‘দ্য হান্ড্রেড’-এর মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, যেখানে খেলোয়াড়রা বিপুল অঙ্কের চুক্তি পাচ্ছেন। এর ফলে অনেক ক্রিকেটার টেস্টের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
আগামী দিনে টেস্ট ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য আনা হবে, তা নিয়ে এখন ক্রিকেটবিশ্বের অপেক্ষা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক