টানা ৪০ দিনের মাথায় গতকাল খুলে দেওয়া হয়েছে নগর ভবনের মূল ফটক। আবারও শুরু হয়েছে সেবাকার্যক্রম। তবে সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকলেও বন্ধ ছিল প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের অফিস।
এদিকে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে নগর ভবনের সিঁড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি কর্মীরা। তাঁদের বিভিন্ন স্লোগানও দিতে দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নগর ভবনে সেবা চালু হলেও প্রথম দিনে তেমন ভিড় ছিল না। যারা এসেছেন তারা খুব সহজেই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এতে সেবাপ্রত্যাশীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। বাসাবোর বাসিন্দা আরিফ তরফদার বলেন, ছেলের লাইসেন্স হস্তান্তরের জন্য এসেছিলাম। খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে দিয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ। শুক্রাবাদের আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমি হোল্ডিং ট্যাক্স জমা দিতে এসেছিলাম। খুব দ্রুত কাজ হয়ে গেছে। এত দ্রুত সেবা পেয়ে খুব খুশি।’ নাজিরাবাজার থেকে আসা মানছুরা বলেন, ‘নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। বাবার অসুস্থতার কারণে একটি অনুদানের টাকা জমা ছিল। আবার আবেদন জমা দিলাম। স্যারেরা বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই টাকা পেয়ে যাব। এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতেও সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের। পুরান ঢাকা থেকে আসা একজন সেবাপ্রত্যাশী জানান, অনেকদিন বন্ধ থাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স জমা দিতে পারেননি। আবার সেবা চালুর পর এসে খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ আদালত ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেট স্থগিত চেয়ে রিট করা হলে সেটি খারিজ হয়। পরে আপিল করলে সেখান থেকেও রিট খারিজ হয়। এখনো পর্যন্ত তাকে শপথ পড়ানো হয়নি। এরপর গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাকের সমর্থকরা। ওইদিনই নগর ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম।