ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছিল পুরো ক্যাম্পাস। এ সময় ক্যাম্পাসের ভিতর মোতায়েন ছিলেন ২ হাজার পুলিশ সদস্য। ছিল সিসিটিভি মনিটরিং, মোবাইল টহল টিমসহ রিজার্ভ ফোর্সও। ক্যাম্পাসের বাইরে মোতায়েন ছিলেন বিজিবির সদস্যরা। নিষিদ্ধ ছিল আগ্নেয়াস্ত্র বহন। শহীদ মিনার, পলাশী, নীলক্ষেত, উদয়ন স্কুল, ফুলার রোড, দোয়েল চত্বরসহ ক্যাম্পাসের প্রধান প্রবেশমুখগুলোতে আটটি চেক পয়েন্ট বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষের চলাচল। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দিয়েছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে যানবাহন প্রবেশও সীমিত রাখা হয়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি আর জরুরি সেবার যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নীলক্ষেত পয়েন্ট দিয়ে অন্যের কার্ড ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় বহিরাগত এক তরুণকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক ওই তরুণ নিজেকে ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীর আত্মীয় পরিচয় দেন। ডিএমপি সূত্র জানায়, ডাকসু নির্বাচনে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড এবং সোয়াটকে রাখা হয়। এ ছাড়াও সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় শাহবাগ মোড় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ছাড়া ক্যাম্পাসের ভিতর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। প্রবেশমুখ পেরিয়ে ক্যাম্পাসের খানিক ভিতরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। এ পথে আসা সাধারণদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সদস্যরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দিতে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা ঘেঁষা এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন বিজিবির ঢাকা সেক্টরের মেজর ওবায়েদ। তিনি বলেন, আমাদের ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে ডাকসু নির্বাচনে। বাইরে থেকে কোনো আগন্তুককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটাই ছিল আমাদের দায়িত্ব।