জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের কারণে একটি ‘ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন’ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় গণভোটের সিদ্ধান্ত এখন সরকারকেই নিতে হবে। এখন সরকারের দায়িত্ব দ্রুত গণভোটের তারিখ দেওয়া। গণভোটের তারিখ ঘোষণায় সরকার যত দেরি করবে, জাতীয় নির্বাচন তত পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, রাজনীতির ময়দানে মেঘ জমেছে। এই মেঘ কাটাতে প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আট দলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ। এতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) কিছু বিষয় পরিবর্তনের চেষ্টা করছে একটি দল। এ অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে। এ সময় তিনি জানান, নভেম্বরে গণভোট এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আগামী ৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।