ফ্রান্সের কর্মকর্তারা সরে আসলেন তাদের আগের বক্তব্য থেকে। তারা বলছেন, বুধবার প্যারিসের শহরতলীর একটি ফ্ল্যাটে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আত্মঘাতী বোমারু কোন নারী ছিলেন না। ছিলেন পুরুষ। সবকিছু দেখে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও এর আগে বলা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটে অভিযানের সময় হাসনা আইটবুলাসেন নামের এক নারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পুলিশ বলছে, মনে হচ্ছে ২৬ বছর বয়সী হাসনা আইটবুলাসেন আত্মঘাতী বোমারু ছিলেন না। সেই ফ্ল্যাটে শুক্রবার তৃতীয় আরও একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্যারিসের শহরতলীর যে ফ্ল্যাটকে ঘিরে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র লড়াই হয়েছে সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় হাসনা আইটবুলাসেনের মৃতদেহ। পুলিশের ধারণা ছিল, একটি আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা ছিল তার শরীরে। অভিযান চলার এক পর্যায়ে সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ধারনা করা হচ্ছে, হাসনা আইটবুলাসেন প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা আবদেলহামিদ আবাউদের দূর সম্পর্কের কেউ। বুধবারের অভিযানে আবদেলহামিদ আবাউদ নিহত হয়। হাসনা আইটবুলাসেনকে যেভাবে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল, সেটি নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠ একজন বান্ধবী।
হাসনা আইটবুলাসেনের সাথে স্কুলে পড়াশুনা করেছেন খেমিসা। তিনি বলছেন, হাসনা জীবনকে ভালোবাসতো। আমার মনে হয় না আত্মঘাতী বোমারু হওয়ার কোন ইচ্ছে ওর ছিল। কেউ হয়তো শেষ মুহূর্তে ওকে প্রভাবিত করেছে। ফ্রান্স এলিট পুলিশের যে দলটি প্যারিসের শহরতলীতে অভিযান পরিচালনা করেছিল, সে দলের প্রধান বলেন, তারা যখন ফ্ল্যাটের কাছাকাছি যান তখন একজন নারীর কণ্ঠ শোনা যায়। সেই নারী নিজেকে উড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/২১ নভেম্বর ২০১৫/এস আহমেদ