যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে হামলাকারী আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ওমর মতির বাবা মীর সিদ্দিকীর দাবি, তার ছেলে ধর্মান্ধ ছিল না। একবার দুই পুরুষকে চুমু খেতে দেখে রেগে গিয়েছিল। অপরদিকে, মতিনের সাবেক স্ত্রীও জানান, ওমর ধর্মান্ধ ছিল না। তবে সে প্রতিদিনই তাঁকে (স্ত্রীকে) মারধর করতো।
সংবাদমাধ্যমে মীর সিদ্দিকী বলেন, ‘‘আমি মনে করি হামলার সঙ্গে কোনো ধর্মীয় সম্পর্ক নেই। কয়েকমাস আগে আমরা মায়ামি গিয়েছিলাম। সেখানে দুই পুরুষকে চুমু খেতে দেখে খুব রেগে যায় ওমর। কিন্তু ও যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা ভাবতে পারিনি। সকলের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি।’’
ওমরের সাবেক স্ত্রী আরও জানান, ইন্টারনেটে পরিচয় হয় তাদের। পরে ২০০৯ সালের মার্চে তারা বিয়ে করেন। প্রথম কয়েকমাস স্বাভাবিক ব্যবহার করলেও পরে পুরোপুরি বদলে যায়। ঘরে ফিরেই তুচ্ছ কারণে মারধর করতো। ২০১১ সালে ওমরের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। মতিন ফ্লোরিডার এক নাবালক সংশোধনাগারে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতো বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্লোরিডা হামলাকারী মতিনের সাবেক স্ত্রী।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে ওমর মতিন (৩০) হামলা চালায়। তার ছোড়া গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫৫ জন। মতিন ফ্লোরিডার পোর্ট সেন্ট লুসিসে বসবাস করতেন। ওই বন্দুকধারী ক্লাবটিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করেন। একপর্যায়ে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের জিম্মি করে রাখা হয়। এর তিন ঘণ্টা পর পুলিশ ঢুকে মতিনকে হত্যা করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জুন, ২০১৬/ আফরোজ