অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, প্রতি বছর স্কুল (প্রি-স্কুল থেকে হাই স্কুল পর্যন্ত) পরিচালনা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়লেও কয়েদিদের জন্যে বা[ড়ছে ৪ গুণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রাপ্ত এ তথ্য অনুযায়ী, ক্রিমিনাল জাস্টিস রিফর্ম করার ব্যাপারে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। ট্যাক্স প্রদানকারীদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ার প্রক্রিয়া জোরদারের বিকল্প নেই।
বেশ কটি জরিপে উঠে এসেছে যে, অপরাধ প্রবণ এলাকায় শিক্ষা বিস্তার করা সম্ভব হলে অপরাধ হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। সত্যিকারের শিক্ষা পেলে কেউই অপরাধে লিপ্ত হবে না।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক স্কুল খাতে বরাদ্দ বার্ষিক ২৫৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫৩৪ বিলিয়ন করা হয়েছে। একইসময়ে রাজ্য ও স্থানীয় পর্যায়ের কারাগারের বন্দির সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণ এবং বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭১ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী জন বি কিং জুুনিয়র বলেন, বাজেটে জনগোষ্ঠীর মতামত এবং সামগ্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে থাকে। কোনটি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত, তা বিবেচনার দাবি রাখে। শিক্ষাখাতে এমন বৈষম্য বহুদিনের। এটি খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, আমাদের ভবিষ্যত হচ্ছে আজকের শিশুরা। তারা যদি সুশিক্ষা লাভে সক্ষম না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে কীভাবে?
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বিদায় নেয়া শিক্ষামন্ত্রী আরনে ডানকান প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন যে, হালকা অপরাধের জন্যে আটক কয়েদিদের মুক্তি প্রদানের পর যে ১৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে, তার পুরোটাই পিছিয়ে থাকা এলাকার স্কুল-শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির খাতে বরাদ্দ করতে। এ পদক্ষেপ গ্রহণের পর ওইসব স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবে। এতে অপরাধের মাত্রাও হ্রাস পাবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর ম্যাসেচুসেটস রাজ্যে কারাগার পরিচালনায় ব্যয় বেড়েছে ১৪৯%। টেক্সাসে ব্যয় বৃদ্ধির হার ৮৫০%। অপরদিকে, মিশিগানে শিক্ষাখাতে ব্যয় বেড়েছে ১৮% এবং নেভাদায় ৩২৬%।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ