তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর্দোগান বলেছেন, শুক্রবার রাতে কৃষ্ণ সাগরীয় এলাকায় যে হোটেলে তিনি অবস্থান করেছিলেন, সেখান থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
শনিবার ইস্তানবুল পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রাষ্ট্রীয় আনাদোলু এজেন্সি জানায়, বোমা হামলায় ৫ পুলিশ আহত হয়েছে। হামলার আগে অন্তত দুটি হেলিকপ্টার থেকে ভারী গোলাবর্ষণ করা হয়। এরপরই হোটেলটি মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা ঘিরে ফেলে।
এর্দোগান ওই হোটেলে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে সামরিক অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই তিনি দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। তিনিও ইস্তানবুল রওনা হয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য নস্যাতের চেষ্টা চালায়। এই বিশ্বাসঘাতকতার সাথে জড়িততের চড়া মূল্য দিতে হবে।
তিনি সামরিক বাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে বলেও জানান।
শুক্রবার রাতে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ দাবি করে, তারা দেশের সব নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। তারা সারা দেশে সামরিক আইন জারি করার কথাও জানায়। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে গোলাবর্ষণও করেছে। তারা সেনাপ্রধান হুলসি আকারকে পণবন্দি করে। রাজধানী আঙ্কারার আকাশে সামরিক বিমান উড়ার শব্দও শোনা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ