একবিংশ শতাব্দীতে এসে এককথায় নারকীয় ও অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে বলি দেওয়া হয়েছে ৪ বছরের এক শিশুকন্যাকে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ভারতের পূর্ব অসমের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা চড়াইদেও-এর রতনপুরের এক ওঝার বিরুদ্ধে। গত ২৪ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিল আদিবাসী শিশুটি।
একটি জঙ্গলের মধ্যে শিশুটির মাথাবিহীন দেহ পাওয়া যায়। দেহটি উদ্ধারের সময় শিশুটির হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে দেহে কোনও যৌন নির্যাতনের চিন্হ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হনুমানপ্রসাদ ভূমজি এবং আরিফুল আলি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবদুল জলিল নামে এক ওঝার খোঁজ চলছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা হনুমানপ্রসাদের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। সেটি ফিরে পাওয়ার জন্য ওঝার সহকারী আরিফুলের দ্বারস্থ হন হনুমানপ্রসাদ। মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হনুমানের বাড়িতে পুজার আয়োজন করে আরিফুল ও জলিল। পুলিসের অনুমান, সেই সময়েই শিশুটিকে বলি দেওয়া হয়।
চড়াইদেও এর পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট বলেছেন, ‘জলিলকে আমরা খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করব। আপাতত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/২ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৪