ফিলিপাইনে দীর্ঘ ২৫ বছর একনায়কত্ব চালিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস। ১৯৮৬ সালে ‘পিপলস পাওয়ার’ বিপ্লবের কারণে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয় মার্কোসকে। এরপর তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয় হাওয়াইতে। সেখানেই ১৯৮৯ সালে মৃত্যু হয় তার।
২৭ বছর পর ফিলিপিনসের প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতির ফার্দিনান্দ মার্কোসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তাকে কবর দেওয়া হল মেট্রো মানিলার ন্যাশনাল হিরোজ সিমেট্রিতে। স্বৈরাচারী শাসক মার্কোসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সিদ্ধান্তে শুক্রবার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিরোধীরা এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বন্ধ করার জন্যে আদালতের দারস্থ হয়েছিল। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার ভেতর দিয়েই শেষ হল তার অন্তিম কাজ।
এতদিন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে পারেনি পরিবার। তার মৃতদেহ এতবছর রাখা ছিল ফিলিপিনসের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আয়োকস নর্ট-এর একটি মর্গে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তার পরিবার লড়াই চালাচ্ছিল কবর দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার জন্যে। অবশেষে মেলে সেই অনুমতি।
এই অনুমতির পর তার কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হয় তাগালগের ন্যাশনাল হিরোজ সিমেট্রিতে। ২১টি গান স্যালুট শেষে তাকে সমাধিস্ত করা হয়। তবে হিরোজ সিমেট্রিতে সমাধি দেওয়ার জন্যে ক্ষিপ্ত জনতা। তাদের দাবি এই সিদ্ধান্ত অন্যায়। মার্কোস কোনওভাবেই নায়ক নয়। তিনি খলনায়ক।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১২