দেশে দেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন দেশে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনে সামরিক ও কূটনৈতিক তৎপরতাও চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) বিভিন্ন প্রতিবেদনে বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আমেরিকার এ নীতিতে পরিবর্তন আনবেন।
নর্থ ক্যারোলিনায় মঙ্গলবার রাতে সমাবেশে নবনির্বাচিত এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিদেশে সরকার পতনের চেষ্টা আমরা বন্ধ করব। বহির্বিশ্বে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা থেকে আমরা সরে আসব। যে সম্পর্কে আমরা জানি না, তাতে আমাদের জড়িত হওয়া উচিত নয়। আগ্রাসন ও অরাজকতার নীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর রাজ্যগুলোয় ‘ধন্যবাদ সফর’ শুরু করেছেন ট্রাম্প। তার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্রাগ সামরিক ঘাঁটির পাশে এক সমাবেশে ভাষণ দেন।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনীকে এখন আগ্রাসনের বদলে প্রতিরোধের কাজ করতে হবে। আমাদের যুদ্ধে বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই। এর চেয়ে আমেরিকার পুরনো হয়ে যাওয়া সড়ক, সেতু ও বিমানবন্দরের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/৮ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা