মুসলিম অধ্যুষিত সাত দেশের নাগরিকদের উপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশ প্রথমবারের মত দেশজুড়ে কার্যকর হবে বলেও জানা গেছে। শুক্রবার ওই আদেশ দেয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর।
সরকারি আইনজীবীদের এ দাবির পরিপ্রক্ষিতে ফেডারেল জজ জেমস রবার্ট ওই আদেশ দেন। এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সরকারের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এখতিয়ার নেই।
উল্লেখ্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করতে এক নির্বাহী আদেশ সাক্ষর করেন। সেই আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শরণার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবে না। আর সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই আদেশ কার্যকর থাকবে।
সেইসঙ্গে আগামী ৯০ দিন মুসলিম অধ্যুষিত সাত দেশ ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকি দ্বৈত-নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া (গ্রিন কার্ড হোল্ডার) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ওই আদেশ কার্যকর হবে।
ওয়াশিংটনের স্টেট অ্যাটোর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন ট্রাম্পের ট্রাম্পের এই আদেশকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করেন। তিনি মনে করেন, ওই আদেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে।
আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটোর্নি জেনারেলও ট্রাম্পের এই আদেশকে অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করেছেন। কয়েকজন ফেডারেল জজ যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসা থাকা ব্যক্তিদের বিতাড়ন আটকাতে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ভার্জিনিয়া, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও মিশিগানে মামলার শুনানি চলছে বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৯