সুপ্রিমকোর্টের রায়ে সংসদ সদস্যপদ ও প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এখন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দুর্নীতির দায়ে তিনি জেল খাটবেন কিনা। সোমবার পাকিস্তানের সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নওয়াজ শরীফ সুপ্রিমকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এখন প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে- তিনি কতদিন অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অনেক আইনবীদ মনে করেন, নওয়াজ শরীফ আজীবনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।
পাকিস্তানের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন-১৯৭৬ এর ৭৮ ধারায় মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেওয়া 'অসৎ চর্চা' হিসেবে স্বীকৃত। আর একই আইনের ৮২ ধারায় তার জন্য শাস্তিবিধানের নির্দেশনা রয়েছে। এরকম দুর্নীতির শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা বা উভয়টাই হতে পারে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারে রায় দেওয়ার সময় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ৯৯ (এফ) ধারার অধীনে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এ ধরনের অপরাধে পূর্বে কয়েকজন সংসদ সদস্যকে জেল খাটতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮-২০১৩ মেয়াদের এক সংসদ সদস্য ভুল সার্টিফিকেট প্রদান করলে তাকে আসনচ্যুত করা হয় এবং নিম্ন আদালত জেল দেয়। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। জেল খাটা শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর পর আবার নির্বাচন করার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে বলা হয়েছিল সে রায়ে।
নওয়াজ শরীফের বেলায় কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে উভয় সংকটে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। যে আইনে নওয়াজকে কাবু করা হয়েছে সেটা জেনারেল জিয়াউল হকের সময় করা হয়েছিল। ইসলামী নৈতিক ভিত্তির উপর ভিত্তি করে সেটা বানানো হয়েছিল। তবে এটাতে বিরোধীদের কাবু করার রসদ রয়েছে বলে মনে করেন আইনবিদরা।
প্রসঙ্গত, দুবাইভিত্তিক ক্যাপিটাল এফজেডই কোম্পানিতে চাকরির বিষয়টি ২০১৩ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ না করে পার্লামেন্ট এবং আদালতের সঙ্গে অসততা করায় নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী পদে শুক্রবার অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। পরে পদত্যাগ করেন নওয়াজ।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৭/আরাফাত