পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ, সৌদি আরব, জর্ডান, তুরস্ক, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সতর্ক বাণী উপেক্ষা করেই এ ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। আর তার এরকম একপেশে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
মাহমুদ আব্বাস হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ট্রাম্প আগুন নিয়ে খেলছেন। ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ আপনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।আব্বাস এসময় জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আর জানায়, বিশ্বনেতাদের এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার আহ্বান অগ্রাহ্য করে একপেশে সিদ্ধান্তে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান হারিয়েছে।মতে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ায় আর কোনো ভূমিকা রাখার অবস্থানে নেই যুক্তরাষ্ট্র। তারা মধ্যস্থতাকারীর অবস্থান হারিয়েছে।
মাহমুদ আব্বাস আরও বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী এবং তেল আবিব থেকে সেখানে দূতাবাস সরানোর ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প ইসরাইলকে পুরস্কৃত করেছেন ।এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলকে বৈধতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে শান্তি নয় সংঘাত বাড়বে।
এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে তিন দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন সহ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন ফিলিস্তিনিরা।
১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর জেরুজালেমের পশ্চিমাংশ দখল করে নেয়া হয়। পরে ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, মিশর ও জর্ডানের সঙ্গে যুদ্ধের পর পূর্বাংশ দখল করে নেয় ইসরাইল। দখলের পর থেকেই ঐতিহাসিকভাবে পবিত্র এ শহরটিতে নিজেদের পুরো কর্তৃত্ব খাটানোর চেষ্টা করছিল ইসরাইল। এই ইস্যুতে অসংখ্যবার ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি, ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিমদের পবিত্র ভূমিতে আগুন জ্বলতে দেখে গেছে।
১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০০ সালে এবং সম্প্রতি ২০১৭ সালে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ইসরাইলি পুলিশের মেটাল ডিটেক্টর বাসানোর জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান