কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে দেখা করতে বলে পূর্ব পরিচিত দুই যুবক। কিন্তু সেই তরুণী দেখা করতে না চাইলে জোর করে তাকে সেই দুই যুবক গাড়িতে তুলে নেয়। এবং গাড়িতেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার সেই ঘটনায় অভিযুক্তরা গণধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে রাস্তায় ফেলে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাতেই সৌমিত্র ঘোষ, সুশোভন দাস ও সঞ্জিত গুপ্তা নামে তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন যুবতীর পরিবার। সৌমিত্র কলকাতার টালার নন্দকিশোর স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বামুনাড়া কসবা এলাকায় বাড়ি সুশোভনের। অপর অভিযুক্ত সঞ্জিত গুপ্তা গাড়িচালক। সে চন্দ্রকোনা রোডের অপর্ণাপল্লির বাসিন্দা।
নির্যাতিতা সেই স্নাতকোত্তর ছাত্রী জানায়, কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলে সৌমিত্র ঘোষ ও সুশোভন দাস। তরুণী দেখা করতে না চাইলে বাড়ির অদূরে তাকে জোর করে তারা গাড়িতে তুলে নেয়। এরপরে গনগনির কাছে গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করা হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকেরা জড়ো হয়ে যায়। সেই সময় গাড়ির দরজা খুলে তাকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
সেই যুবতীর পরিবারের দাবি, গাড়িতে গণধর্ষণের পরে তারা সেই যুবতীকে খুন করারও চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা দাবি করেছে, ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। সে যুবতী পড়ে গিয়েছিল। তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর