উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া তরুণ ফুটবল টিমের সদস্যদের সাঁতার শেখাচ্ছে দেশটির নৌ-বাহিনীর সিল টিম। গুহা থেকে বের হওয়ার জন্য একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপের জন্যই তাদেরকে এমনটা শেখানো হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে একটি গুহায় ১১ দিন আগে আটকা পড়ে ওই ফুটবল দল ও দলের কোচ। বাইরের বৈরি আবহাওয়ার কারণে গুহা থেকে তাদের একমাসের আগে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আটকে পড়া বালকদের কেউই সাঁতরাতে জানে না। তাই,তাদেরকে বের করে আনতে সাঁতার শেখাচ্ছে নৌবাহিনীর সিল টিমের সদস্যরা। আপাতত তাদের উদ্ধার করার সবচেয়ে সম্ভাব্য উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই পদ্ধতিকে। কেননা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাদের বের করে আনা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠবে।
বর্তমানে তারা সাঁতরানোর জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবহার শিখছে। কিন্তু কেউই সাঁতরে বের হওয়ার চেষ্টা করেনি। কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে গুহার ভেতর থেকে পানি সেঁচে তাদের বের হওয়ার রাস্তা সুগম করতে। যাতে করে তারা বেশিরভাগ পথ হেটে বের হতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও কিছুটা পথ তাদের সাঁতরেই পাড়ি দিতে হবে।
সোমবার রাতে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়। আপাতত তারা উঁচু জায়গায় আছে। তাই বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু শুক্রবার ব্যাপক আকারে বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাদের বের হওয়া কঠিন হয়ে ওঠবে।
নৌবাহিনীর সিল টিম তাদের ফেসবুক পেজে বালকদের নিয়ে নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যায়, তারা এখনো সুস্থ ও নিরাপদ আছে। একজন থাই চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা করছেন। তাদের কাছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়া, তাদের কাছে মুঠোফোন পাঠানোর চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের কাছে মুঠোফোন পাঠানো হলে, তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এতে অনেকটা চাপ কমে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান