মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের বরফ গলিয়ে এক ফ্রেমে নিয়ে এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রধান মুন জায়ে ইন। আরও একবার সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে বলে ইঙ্গিত দিল দক্ষিণ কোরিয়া। অর্থাৎ ফের একবার বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়া প্রধান কিম জন উন।
জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে এক সাইডলাইন বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প ও মুন। সেখানেই ট্রাম্প ফের কিমের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়া সূত্রের খবর। তবে শুধু দক্ষিণ কোরিয়াই নয়, এই তথ্য স্বীকার করেছে হোয়াইট হাউসও। গতকাল শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে আরও এগোতে চাইছে দুই দেশ বলে সূত্রের খবর। তবে এর আগে উত্তর কোরিয়ার বেশ কিছু পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সীমান্ত থেকে মাইন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস উত্তর কোরিয়া দিলেও, তা পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কারণ উপগ্রহ চিত্রে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষাগারের সন্ধান পাওয়ার দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই বরফ গলতে শুরু করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন ট্রাম্প ফের কিমের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বৈঠক নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করার একটি অজুহাত মাত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকের মাধ্যমে নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার ইচ্ছাকে পরখ করে নিতে চায় বলেই মনে করছেন তারা।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর কিম এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়ে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরীয় রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন কিম ও পম্পেও। এরপর সিওলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
উল্লেখ্য, গত জুনে সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। ওই বৈঠকে তারা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে সম্মত হন। সম্প্রতি দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন কিম। ওই চিঠির পর কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং এই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশগুলো সফরে আসন মার্কিন বিদেশসচিব পম্পেও।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত