মেরু ভালুকের তাণ্ডবে রীতিমতো অতিষ্ঠ রাশিয়ার নোভায়া জেমলিয়া দ্বীপে। আতঙ্কের জেরে রাশিয়ার ওই দ্বীপে শনিবার জরুরি অবস্থাও জারি হয়েছে।
রাশিয়ার এই দ্বীপে ৩০০০ মানুষের বাস। এই বাসস্থানের মধ্যেই অনেকগুলো মেরু ভালুক ঢুকে পড়েছে। যার ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে এই এলাকায়। মানুষ ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না। ছেলেমেয়েদের স্কুলেও পাঠাচ্ছেন না কেউ।
জানা যায়, এখনও পর্যন্ত মোট ৫২টি মেরু ভালুকের খোঁজ মিলেছে যারা এই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এই প্রথম এই এলাকায় এত মেরু ভাল্লুক ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তার কথায়, ‘১৯৮৩ সাল থেকে এখানে রয়েছি, এভাবে মেরু ভাল্লুকের ঢুকে পড়া আগে কখনও দেখিনি।’
মেরু ভালুকগুলোর মধ্যে আবার কেউ কেউ আক্রমণাত্মকও হয়ে পড়েছে। ওই দ্বীপে একটি সামরিক মিলিটারি ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে ঢুকে পড়া একটি মেরু ভাল্লুক সম্প্রতি ক্যাম্পের মধ্যে সবাইকে তাড়া করতে শুরু করে। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তারা।
মেরু ভাল্লুক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। সে কারণে মেরু ভাল্লুকগুলোকে গুলি করে মারাও নিষিদ্ধ। ফেডেরাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি তাদের গুলি করার জন্য তাই কোনো লাইসেন্স ইস্যু করেনি। কেন নিজেদের নিরাপদ এলাকা ছেড়ে জনবসতিতে ঢুকে এল তারা?
পরিবেশবিদদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জন্য বরফ গলে যাচ্ছে। খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। সে কারণেই মানুষের বসতি অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে তারা। গত ডিসেম্বর থেকেই তারা ঢুকতে শুরু করেছে। কী ভাবে তাদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং কী ভাবে স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে তা নিয়েই এখন উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন। সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন