ফের ধরনা-অনশনের রাজনীতি! গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে তিন দিনের ধরনায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দিল্লিতে অনশনে বসলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়ে দিল্লিতে এক দিনের জন্য প্রতীকী অনশন শুরু করেন তিনি। অনশনের দাবি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি স্মারকলিপিও দেবেন তিনি।
সোমবার সকালে রাজঘাটে দেশটির জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান চন্দ্রবাবু। সেখান থেকে সকাল সাড়ে আটটায় অন্ধ্র ভবনে অনশন শুরু করেন চন্দ্রবাবু। তার সাথে এই অনশনে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্যের সরকার কর্মীদের সংগঠনও। সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চে এসে তাঁর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা মজিদ মেনন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকতান্ত্রিক জনতা দল নেতা শরদ যাদব-এর মতো নেতারা। চন্দ্রবাবুর অনশনকে সমর্থন দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জিও। আগামীকাল দিল্লি যেতে পারেন মমতা।
এদিন অনশন মঞ্চ থেকেই চন্দ্রবাবু বলেন, ‘রাজধর্ম পালন করছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পায়নি অন্ধ্র প্রদেশ। এই রাজ্যের সাথে চূড়ান্ত অন্যায় হয়েছে।’
এদিকে চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তোপ দেগে রাহুল বলেন, ‘অন্ধ্র প্রদেশের মানুষের কাছ থেকে রুপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনিল আম্বানীকে দিয়েছেন। যেখানেই তিনি যান, মিথ্যা কথা বলেন। অন্ধ্র প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা নিয়েও তিনি মিথ্যা কথা বলেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় আসার সেই জোট সরকারের শরিক দল ছিল টিডিপি। কিন্তু অন্ধ্র প্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা না পেয়েই চার বছর পর ২০১৮ সালের মার্চে এনডিএ-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে টিডিপি। কার্যত সেই থেকেই মোদি বিরোধী নেতা হিসাবে উঠে আসেন চন্দ্রবাবু।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল