ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের সরে আসার (ব্রেক্সিট) চূড়ান্ত চুক্তিতে ব্রিটিশ এমপিরা আগামী ১২ মার্চের মধ্যে পার্লামেন্টে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। রবিবার মিসরে ইইউ-আরব লীগ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এ কথা জানান তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে জানিয়ে তেরেসা মে বলেন, ২৯ মার্চেই বিচ্ছেদ বাস্তবায়ন হবে।
এদিকে, ভোটে বিলম্ব করলে তা দায়িত্বহীনতার কাজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছায়া ব্রেক্সিট সেক্রেটারি কায়ার স্টারমার। খবর বিবিসির।
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় অক্সফোর্ডে যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল (টরি) দলের জাতীয় সম্মেলনে কর্মীদের উদ্দেশে তেরেসা মে বলেন, ইইউর সঙ্গে তার আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্বে’ পৌঁছেছে। এ সময় সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে তা হচ্ছে মনোযোগ সরিয়ে নেয়া।
চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে বিচ্ছেদ কার্যকরের সময়সীমা পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দিতে পারেন- সম্প্রতি মন্ত্রিসভার ইইউপন্থী তিন সদস্যের এমন ইঙ্গিতের পর মে এ কথা বলেন।
সাবেক টরি মন্ত্রী স্যার অলিভার লেটউইন ও লেবার পার্টির ইভেত কুপার ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন একটি সংশোধনী উত্থাপন করেছেন, যেখানে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইউরোপের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না গেলে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এটি পাস হলে ব্রেক্সিটের জন্য ২৯ মার্চের পরও সময় পাবে ব্রিটিশ সরকার। তেরেসা মে অবশ্য এ পথে হাঁটতে রাজি নন।
তেরেসা বলেন, আগামী মঙ্গলবার ব্রেক্সিট সেক্রেটারি ও অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আমরা ব্রাসেলসে যাচ্ছি। ফলে আমরা একটি অর্থপূর্ণ ভোটের আয়োজন করতে পারব। সেটি ১২ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম