ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সিরিয়ায় আইএসের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ এলাকাটিতে তুমুল লড়াইয়ের গত কয়েকদিনে অনেক আইএস নারী-পুরুষকে আটক করতে সক্ষম হয় কুর্দি বাহিনী। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১২ বৃটিশ আইএস ব্রাইড বলে খ্যাত তরুণী রয়েছে, যারা ধরা পড়ার পর তাদের নাম-পরিচয় আড়াল করে অন্য পরিচয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ডেইলি মেইলের খবর, পরিচয় আড়াল করতে আটক তরুণীদের মধ্যে কমপক্ষে দু’জন শরণার্থী শিবিরে কথাবার্তা বলছেন শুধু আরবিতে। তবে তারা বাস করছেন বিদেশি নারীদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আল হাওলে নেয়া হয়েছে তিন তরুণীকে। তারা নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছেন সাফা, জয়নব ও সাফিয়া নামে। পশ্চিমা সমর্থিত সিরিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আল হাওল। এখানেই রয়েছেন বহুল আলোচিত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম। ওই তিন তরুণী বিশাল ওই শরণার্থী শিবিরের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিদেশী নারীরা যেখানে থাকেন সেখানে। এদের পাশাপাশি আরও ৯ ব্রিটিশ আইএস তরুণী এই শিবিরে আত্মগোপন করে আছে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা আরবিতে কথা বললেও তারা কুর্দি বাহিনীর কাছে নিজেদের জাতীয়তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দি বাহিনীর সন্দেহজনক এই সব তরুণীদের নিয়ে যাওয়া হয় ডেইলি মেইলের সাংবাদিক ইয়ান বিরেল’কে। তিনি বলেন, সেখানে আমাকে যাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো তারা সবাই উত্তর দিচ্ছিলেন আরবিতে। তাদের অনেকেই গাঢ় আরবি উচ্চারণ করছিলেন। তারা যে বৃটিশ এ কথা স্বীকার করেননি বলেও জানান এই সাংবাদিক।
ইয়ান বিরেল আরো লিখেছেন, ওই শরণার্থী শিবিরের ম্যানেজার ও অন্যান্য নারী বন্দি, যাদের সঙ্গে আমি তিন দিন সাক্ষাত করেছি, তারা বলেছেন, শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হতে পারে একথা শুনে বৃটিশ জিহাদী তরুণীরা আতঙ্কিত।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব