কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরাজ করছে তুমুল উত্তেজনা। এ ঘটনার পর পাকিস্তানকে সময় মতো সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেখেছিল ভারত। অন্যদিকে, আক্রান্ত হলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও নয়া দিল্লিকে দেখে নেওয়ার পাল্টা হুমকি আসছিল।
এসব হুমকির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ধ্বংস করা হয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় ৩০০ 'জঙ্গি'। পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের বিমানবাহিনীর হামলায় ব্যবহার করা হয় ইসরাইলি মারণাস্ত্র। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচটি যুদ্ধবিমান দিয়ে এ হামলা করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাবাহিনী। তারা এসময় আরও জানায় মিরাজ-২০০০ নামের বিমান থেকে ভারতীয়রা বোমা নিক্ষেপ করে। এই বোমাগুলোর একেকটির ওজন ছিলো ১ হাজার কেজি
প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যতম যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০। মূলত বোমারু বিমান হিসেবেই কাজ করে মিরাজ-২০০০। এটিতে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে সহজেই, ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটিতে থাকা যে কোন বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র এঁকে ফেলতে সক্ষম।
শত্রু পক্ষের বিমানকে মাঝ আকাশে ধবংস করতে এতে রয়েছে ‘অটো ক্যানন’ বা কামান। পাশাপাশি রকেট থেকে শুরু করে লেজার গাইডেড বম্ব বহন করতে পারে বিমানটি। এই জেটের চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। যার ফলে সুপারইমপোজড রাডার ডেটা দেখতে পারেন তিনি। ককপিটে ডিসপ্লে থাকার প্রয়োজন হয় না।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহ করার ইতিহাস বেশ পুরনো। ধারণা করা হয় যে, প্রতিবছর এই দুই দেশের ভেতর এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র লেনদেন হয়। বিগত দুই বছরে এই দুইটি দেশের মধ্যে অনেকগুলো জয়েন্ট ড্রিল হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর