ওষুধ ও প্রসাধনী থেকে বৈশ্বিক বাজার থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে চীন। আর এসব সামগ্রী তৈরির জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ গাধা হত্যা করছে চীন।
কারখানায় গাধার চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে প্রসাধনী তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে গাধার চামড়া বাণিজ্যেরও বড় উৎস। ২০১৬ সালে সিনহুয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সে বছর ওষুধ থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির জন্য ৪০ লাখের বেশি গাধা হত্যা করা হয়েছে। তবে গাধার সরবরাহ কম থাকায় খানিকটা বিপাকে পড়ে দেশটি।
তাই পাকিস্তান থেকে গাধা আমদানির ব্যাপারে চুক্তি করে চীন। ওই সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উঠে আসে, নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙা করতে চীনে গাধা রপ্তানি করছে ইমরান খানের সরকার। তবে চীন নিজেদের চাহিদার কারণেই ইসলামাবাদ থেকে গাধা কিনছে।
গাধার আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সিমন পোপ বলেন, যেভাবে গাধা নিধন করা হচ্ছে, সেটা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এজন্য পরে বিপন্ন হওয়ার শঙ্কায় পড়বে গাধা।
চীনে এভাবে গাধা নিধন এবং গাধার চামড়া নিয়ে বাণিজ্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে আন্তর্জাতিক প্রাণীমেলার আয়োজন করা হয়। পরে সেখান থেকেই চীনের নিন্দা জানানো হয়।
প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো মনে করছে, চীনের এ ধরনের কার্যক্রমের খেসারত শিগগিরই দিতে হবে। প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, বুরকিনা ফাসো, ঘানা, আইভরি কোস্ট, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়াসহ বেশ কিছ দেশে গাধার চামড়ার কদর বেশি। এসব দেশে গাধা বিপন্ন হওয়ার হুমকির মুখে। তাছাড়া সারাবিশ্বে গাধার সংখ্যা কমছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন