এ যেন প্রকৃতির প্রলয় নৃত্য। আবহাওয়াবিদদের মতে, পূ্র্বাভাসের সঙ্গে এই শব্দটিকেই মানানসই বলছেন অনেকে। ফণা উঁচিয়ে এগিয়ে আছে ফণী (Fani), ইতিমধ্যেই উড়িষ্যা আছড়ে পড়েছে এই সুপার সাইক্লোন। সামুদ্রিক এলাকায় পর্যটক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফণীর (Cyclone Fani) ছোবল থেকে মানুষদের বাঁচাতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার। তার দাপটে বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ, রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন খাবারের দোকান তছনছ হয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
ঘন্টায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন ফণীর (Fani) গর্জনে রীতিমতো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার থাকবে ঝড়ের গতি, যা হ্যারিকেনের ৩ থেকে ৪ গুণ।
১৯৯৯ সালে উড়িষ্যার (Odisha) উপকূলে এভাবেই আছড়ে পড়ে প্রলয় নৃত্য করেছিল সুপার সাইক্লোন, আর দাপটে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। এবারে যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব থাকতে পারে, এমন জায়গা থেকে সমস্ত মানুষকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
রাজ্য থকে পুরীতে (Puri) ছুটি কাটাতে যাওয়া সমস্ত পর্যটকদের চলে যেতে বলা হয়েছে। দিনভর এলাকায় ঘুরে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশেষ দলের সদস্যরা। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া গাছের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।-এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/০৪ মে ২০১৯/আরাফাত