সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠানো ৪৯ জনের বিরুদ্ধেই এবার মামলার আবেদন জানানো হল বিহারের আদালতে। শনিবার বিহার কোর্টে সেই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই পিটিশন দাখিল করেছেন এক আইনজীবী। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, দোষ দেওয়া, রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারায় এই মামলা করা হয়েছে।
যারা ওই চিঠি পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, চিত্রপরিচালক কেতন মেহতা, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায়, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, রূপম ইসলাম, ঋদ্বি সেন, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ, সংগীতশিল্পী শুভা মুদগল প্রমুখ।
তাদের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী হিসেবে কঙ্গনা রনৌত, মধুর ভাণ্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রীর নাম রাখা হয়েছে। ওই ৪৯ জনের চিঠির পাল্টা হিসেবে যে ৬১ জন মোদীর পক্ষে চিঠি দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ছিলেন এই কঙ্গনা, বিবেক ও মধুর।
ওই আইনজীবীর অভিযোগ ৪৯ জনের ওই চিঠিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজকে ছোট করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। আগামী ৩ আগস্ট ওই মামলার শুনানি হবে।
গত বুধবার, ওই ৪৯ জন একাধিক সামাজিক বিষয়ে উল্লেখ করে একটি চিঠি লেখেন। সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ২৫৪ জনকে অপরাধী, ৯১-এর হত্যা, ৫৭৯ জন আহত হয়। চিঠি অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে যখন নরেন্দ্র মোদি ছিলেন তখন এমনই অপরাধের মাত্রা ছিল ৯০ শতাংশ।
সূত্র: কলকাতা ২৪*৭
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা