তার অপরাধ সে কন্যাসন্তান। সেজন্য রক্ত মিললেও নিজেদের কিডনি তো নয়ই, অন্য কারও কাছে কিডনির জন্য আবেদনও করতে নারাজ তার মা-বাবা। ঘটনাটি ভারতের বিহারের শেখপুরা জেলার সদর ব্লকের অভগিল গ্রামের।
জানা গেছে, ওই গ্রামের ১৬ বছরের কিশোরী কাঞ্চন কুমারী এবছরই ভালো নম্বরে মাধ্যমিক পাশ করেছে। কিন্তু তার কয়েকদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে কাঞ্চন। তার বাবা রামাশ্রয় যাদব এবং মা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাঞ্চনকে পাটনার ইন্ডিরা গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই পরীক্ষায় ধরা পড়ে কাঞ্চনের দু'টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কিডনি প্রতিস্থাপনের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় কাঞ্চনের অভিভাবকরা তাকে আইজিআইএমএস থেকে নিয়ে ফের শেখপুরার সদর হাসপাতালেই ভর্তি করে। সেখানে রামাশ্রয় এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে কাঞ্চনের রক্ত এবং অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট মিলে গেলেও শুধু মেয়ে বলে তাকে নিজেদের কিডনি দিতে রাজি হননি রামাশ্রয় এবং তার স্ত্রী।
জানা যায়, কাঞ্চনকে বাঁচিয়ে রেখে কোনও লাভ নেই বলেও মন্তব্য করেছে দম্পতি। এমনকি অন্য কোনো কিডনিদাতার জন্য হাসপাতালে বা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্যের জন্যও আবেদন করেননি তারা। ফলে আপাতত তাদের মেয়ে কাঞ্চন সদর হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর দিন গুণছে।
সূত্রঃ দ্যা স্টেটস ম্যান।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ