ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় ফিরে পাঁচ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু নতুন সরকারের শুরুতেই আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার নেমে এল পাঁচ শতাংশে। বাজারে বিক্রি নেই, নতুন বিনিয়োগ আসছে না, কৃষি ক্ষেত্রেও অবস্থা ভাল নয়- এত দিন অর্থনীতির নানা সমস্যার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। সরকারি পরিসংখ্যানও এবার জনিয়েছে, ভারতের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ছে।
ভারতের চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এই প্রথম পরপর দু’টি ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ নিচে। ২০১৩-র জানুয়ারি-মার্চের পর থেকে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার এত খারাপ কখনও হয়নি। তখন প্রবৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে নামায় মনমোহন সিংহের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বিজেপি। দ্বিতীয় মোদি সরকারের শুরুতেই বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নামায় একে ‘অর্থনীতির জরুরি অবস্থা’ বলে সরব হয়েছে কংগ্রেস।
বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করছে, অর্থনীতিতে ওঠানামা চলেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যন মেনে নিয়েছেন, প্রবৃদ্ধির হারে শ্লথগতি এসেছে। তার দাবি, সরকার গাড়ি, ব্যাঙ্ক, বিদেশি লগ্নিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় জানান, অর্থনীতির ওঠানামার সমস্যা ও কাঠামোগত সমস্যা দূর করতে সরকার পদক্ষেপ করছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা