২২ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:৫২

মুসলিম অন্তঃসত্ত্বাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনার ঝড়

অনলাইন ডেস্ক

মুসলিম অন্তঃসত্ত্বাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনার ঝড়

ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হলেন এক মুসলিম প্রসূতি। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি ক্যাফেতে এক মুসলিম গর্ভবতীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রতিদিন এ ধরনের অন্তত একটি করে ঘটনা অস্ট্রেলিয়ায় ঘটার কারণে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আতঙ্ক গ্রাস করছে সাধারণ মানুষজনকে। 

ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, দিন কয়েক আগে সিডনির একটি ক্যাফেতে বন্ধুদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন চার মুসলিম নারী। তাদের মাথায় হিজাব ছিল। তাদের মধ্যে একজন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীও ছিলেন। হঠাৎ করেই এক ব্যক্তি ক্যাফেতে ঢুকে তাদের দেখামাত্র তেড়ে যায়। ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি প্রথমে নারীদের টেবিলের কাছে গিয়ে রুক্ষ আচরণ শুরু করে, চিৎকার করে কথা বলে। কিছুক্ষণ পর গর্ভবতী নারীর পেটে সরাসরি লাথি মারে ওই ব্যক্তি। শুধু তাইই নয়, মারতে মারতে তাকে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়। ফ্লোরে পড়ে যাওয়ার পরেও ঐ অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারতে থাকে সে। এসময় ক্যাফের অন্যান্যরা ছুটে গিয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করলে, তারাও আক্রান্ত হন।

জানা গেছে, পরে ঐ অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় হামলাকারীকে। জামিনের আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে ‘মুসলিম বিদ্বেষী হামলা’ বলেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ। 

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন অব ইসলামিক কাউন্সিল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এটা একেবারেই ইসলাম বিদ্বেষী একটি কাজ। সিডনির বুকে এমন নিন্দনীয় ঘটনা আগে কবে ঘটেছে, তা মনে করতে পারছেন না তারা। আইনের মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তারা। ঘটনার ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইছে। তবে ঐ হামলাকারী গ্রেফতারের পর জেলে বসেও বুঝতে চাইছে না যে সে অপরাধ করেছে। এই মনোভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করছেন মনোবিদরা। সূত্র : এই সময়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর