এ বছরের জানুয়ারিতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ড্রোন হামলায় ২৬ জন নিরস্ত্র ক্যাডেট প্রাণ হারান। ওই হামলার সময় লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিদের (এলএনএ) দখলে ছিল ত্রিপোলি। হামলা কারা চালিয়েছিল তা নিয়ে ৮ মাস ধরে একটা রহস্য ছিল। স্থানীয় কোনো গ্রুপ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছিল দেশটি।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ওই হামলায় জড়িত ছিল বলে বিবিসির এক তদন্তে উঠে এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ঘেঁটে বোঝা যায় চাইনিজ ব্লু অ্যারো ৭ মিসাইল দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। এটি উইং লং ২ নামের একটি ড্রোন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
বিবিসি আফ্রিকা আই এবং বিবিসি আরবি ডকুমেন্টারির তদন্ত বলছে, হামলার সময় উইং লং ২ শুধু লিবিয়ার বিমান ঘাঁটি আল খাদিম থেকে পরিচালিত হচ্ছিল এবং সেটি সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণ করছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৬ সাল থেকে এলএনএ-র সমর্থনে ঘাঁটিটি আরব আমিরাত নিয়ন্ত্রণ করে।
অথচ আরব আমিরাত ওই সময় লিবিয়ায় কোনো ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জানায়, তারা জাতিসংঘের শান্তিচুক্তিকে সমর্থন করে। নতুন এই তথ্যের বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে তারা কোনো কথা বলতে চায়নি।
বছরের শুরুর ওই ড্রোন হামলার সঙ্গে বিবিসির মতো জাতিসংঘও তাদের তদন্তে আরব আমিরাতের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলের ওই সামরিক একাডেমিতে ৫০ জন ক্যাডেট নিয়মিত ড্রিলে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ সেখান বিস্ফোরণ হলে ২৬ জন প্রাণ হারান, যাদের অনেকে কিশোর। সিরিয়ার মতো লিবিয়ায় সংঘাতের শুরু ২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে। ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘসময়ের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ