পরমাণু হুঙ্কার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উনের। নতুন করে পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী হচ্ছে তার দেশ। কিম জানিয়েছেন, জোরকদমে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। তৈরি হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের সাবমেরিন, মিসাইল।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই হুমতি কার্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। কারণ মার্কিন সরকারকে তুলোধনা করে কিম জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সবথেকে বড় শত্রু আমেরিকা।
আমেরিকা অত্যন্ত যুদ্ধবাজ দেশ বলে আখ্যা দিয়ে কিম জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে সব ব্যবস্থা রেখেছে উত্তর কোরিয়া।
জাতীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া তথ্যে কিম জানান আমেরিকা পরমাণু ক্ষমতা নিয়ে বড়াই করা থামিয়ে দিতে পারে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, নভেম্বর মাসেই কমিউনিস্ট দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে মিলিটারি প্যারেডে বিশালাকার মিসাইলের প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, দৈত্যাকার হাতিয়ারটি হচ্ছে ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ বা আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপটের মধ্যেই কিম ইল সুং স্কোয়ারে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার সৈনিক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ দেখেন দেশের একনায়ক কিম জং উন। সেখানেই একটি বিশাল সামরিক ট্রাকে করে মিসাইলটি প্রদর্শন করা হয়।
মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক ট্রাক বা মিসাইল লঞ্চার থেকেই আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম মিসাইলটি যে কোনও জায়গায় নিয়ে ছোঁড়া যায়। শুধু তাই নয়, অত বড় আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে আর নেই।
এদিকে, মার্কিন লবি বিরোধী দেশ হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়া ফের একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। শনিবার দেশের রাজধানী পিয়ংইয়নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সবথেকে বড় শত্রু। আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার বিবাদ বা দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, তবে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার দিন দশেক আগে কিমের এই হুঙ্কারকে অন্য চোখেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
এর আগেও বহুবার ট্রাম্প-কিম বাগযুদ্ধ দেখেছে বিশ্ব, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যস্থতায় কিছুটা হলেও সুর নরম করেছিল পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশ। ফের পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে, যা সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ। কারণ শনিবার কিম জানিয়ে দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে যেই বসুক না কেন, তার জন্য আমেরিকার প্রতি উত্তর কোরিয়ার মনোভাব বদলে যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত