২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক চীনে হওয়া উচিত নয় বলে দেশটির বিরুদ্ধে উইঘুর গণহত্যার অভিযোগ তুলে এমন দাবি জানিয়েছে কানাডার প্রধান বিরোধী দল। দলটি আসন্ন অলিম্পিক আসর অন্য দেশে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের অভিযোগ, পশ্চিম জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে চীন। বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ও'টুল বলেছেন, কানাডার উচিত অন্ধের মতো এই গণহত্যার দিক থেকে চোখ না ফেরানো।
তিনি বলেন, কানাডাকে অবশ্যই একটি অবস্থান নিতে হবে। কিন্তু আমাদের একা এটা করলে হবে না। আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি অলিম্পিক সরানো না হয়, তাহলে বয়কটের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিষয়টি কানাডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি দেখছে। আমরা অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে বিবেচনা করছি।
ট্রুডো বলেন, জিনজিয়াংয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ পাওয়া গেছে এবং আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অনেকবার আমাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব অক্টোবর মাসে বলেন, তার দেশ অলিম্পিক বয়কট করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে চীনে গণহত্যা চলছে।
তিব্বতী, উইঘুর, মঙ্গোলিয়ান, হংকংয়ের বাসিন্দা এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিত্বকারী ১৮০টি অধিকার গ্রুপের একটি জোট এই মাসে কূটনৈতিকভাবে চীনকে বয়কটের আহ্বান জানিয়ে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে।
চীনে নিযুক্ত কানাডার সাবেক রাষ্ট্রদূত গাই সেন্ট-জাক বলেছেন, শীতকালীন অলিম্পিক এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা উচিত এবং অন্য কোথাও অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক