২০ জুন, ২০২১ ০২:৩৯

খাদ্য সংকট মোকাবেলায় জমির উর্বরতা বাড়ানোর নির্দেশ কিমের

অনলাইন ডেস্ক

খাদ্য সংকট মোকাবেলায় জমির উর্বরতা বাড়ানোর নির্দেশ কিমের

পরমাণু অস্ত্র ও নিত্য নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত থাকলেও খাদ্য সংকটে রয়েছে কিমের উত্তর কোরিয়া। দেশটির খাদ্য সংকট পরিস্থিতি এতোটাই উদ্বেগজনক যে, কৃষকদের প্রতিদিন নিজেদের জমিতে ২ লিটার করে মূত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কিম প্রশাসন। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় জমির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস এবং সম্প্রতি টাইফুনের কারণে সৃষ্ট খাদ্য সংকট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমিতে মূত্র দিলে দেশটিতে সার উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো যাবে। সারের উৎপাদন বাড়ালেই ফসল উৎপাদন বাড়বে। এর ফলে ফলনও বাড়বে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে গত কয়েক মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন জিনিসপত্রের দামও বাড়তে শুরু করেছে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। উত্তর কোরিয়ায় জনসংখ্যার অনুপাতে ৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার অনেক খাদ্যই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়।  খাদ্য সরবরাহের ব্যাপারে চীনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু পরমাণু প্রকল্পের কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় উত্তর কোরিয়াকে এখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয় সম্প্রতি। সেখানে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কিমই। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে শিল্প উৎপাদন ২৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গত বছর হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিক্ষেত্রে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কায় খাদ্য সংকট শুরু হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, উত্তর কোরিয়া এখনো দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও এই সময়ে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় হলেই খাদ্য সংকট চরম অবস্থায় পৌঁছাবে। তবে এখনো পরিস্থিতি যথেষ্ট সংকটজনক। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকগুলোর ব্যর্থতার পর থেকেই গত ২ বছরে আমেরিকা কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে কিম তথা উত্তর কোরিয়ার। এমতাবস্থায় বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও বুধবার বৈঠকে আলোচনা করেন কিম।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে একটি দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু তাদের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের উন্নয়নে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার। কিম জং উনের শাসনামলে তা আরও গতি পেয়েছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের বহু নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে দেশটি। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর