নয়াদিল্লিকে অবাক করে দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারতকে আর্জি জানাল তালেবান। তালেবানের তরফে ভারতকে এই প্রস্তাব দেন তালেবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই।
স্ট্যানিকজাইকে এর আগে ভারতবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা হত। দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক আলোচনাকারী দলের দ্বিতীয় মুখ্য ব্যক্তি ছিলেন স্ট্যানিকজাই। সার্বিকভাবে তালেবানি সংগঠনে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন স্ট্যানিকজাই।
দুই দিন আগেই তালেবানের দখলে চলে যাওয়া কাবুল থেকে ২০০ ভারতীয়কে দেশে ফেরায় দিল্লি। এর থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, আপাতত কোনোরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক তালেবানের সঙ্গে রাখতে ইচ্ছুক নয় ভারত। যদিও তালেবান মুখপাত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ভারত চাইলে আফগানিস্তানে তাদের প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে পারে। ভারতের প্রকল্পের প্রশংসাও শোনা যায় তালেবানের গলায়। তবে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তালেবান।
তালিবানের তরফে স্ট্যানিকজাই দাবি করলেন যে, ভারতের কূটনীতিকরা কাবুলে থাকলে নিরাপদেই থাকবেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে, কাবুলে লস্কর বা জইশ জঙ্গিদের উপস্থিতি নেই। কাবুলের রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, সবকিছুর নিরাপত্তার দায়িত্বে তালেবান রয়েছে।
তবে ভারতের বক্তব্য, তালেবানের এহেন আবেদন ভুয়া হতে পারে। শুধু মুখের কথায় নয়াদিল্লি এই আবেদনের ‘আন্তরিকতা’ বিশ্বাস করবে না। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সে দেশে বড়মাত্রায় বিনিয়োগ রয়েছে দিল্লির। সেদেশে প্রায় প্রায় ৪০০টি প্রকল্পে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত। তালেবানি দখলে যাওয়ার আগে আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালেই ৮৩৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। কাবুলে চিনি, ওষুধ, চা, কফি, মশলা ও ট্রান্সমিশন টাওয়ার রফতানি করে ভারত। আমদানি করা হয় মূলত ড্রাই ফ্রুটস।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ