ঘটনাটি ভারতের মুম্বাই শহরের। সেখানে স্বামীর ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে টানা ৬ বছর ধরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন স্ত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দম্পতি পুলিশ হাতে আটকের পর এ ঘটনা ফাঁস হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর জি নিউজ ও সংবাদ প্রতিদিনের।
জানা গেছে, ওই দুই দম্পতি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের একটি পার্টিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় এক নারীর। তারপর ফোনে কথোপকথনের মধ্য দিয়ে তাদের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। একদিন স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে দেয়ার নাম করে পার্টিতে পরিচয় হওয়া ওই নারীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে ওই নারীকে মাদক মেশানো শরবত খাইয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই ধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী। পরে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে তাকে সেই ভিডিও দেখানো হয় এবং তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ভিকটিম নারীর থেকে প্রায় দেড় কোটি রুপি হাতিয়েছে ওই অভিযুক্ত দম্পতি। এখানেই শেষ নয়, মোটা অংকের টাকা হাতিয়েও থেমে থাকেনি। এরপর ভিকটিম নারীর কিশোরী মেয়ের দিকেও নজর পড়ে তাদের। মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা করে। তখন আর চুপ থাকেননি ভিকটিম নারী। সরাসরি মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপরই মুম্বাই থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে আসে অভিযুক্ত দম্পতি। কলকাতার নিউমার্কেটের কাছে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতো তারা। টাকার টান পড়লে অন্যান্য নম্বর থেকে ফোন করে আত্মীয়দের। সেই ফোনের সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশের সাহায্যে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, টানা ছয় বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল করে ভিকটিম নারীর থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিল তারা। ভুক্তভোগীর অভিযোগ তারা ব্ল্যাক ম্যাজিকও করত। ধর্ষণ, যৌনতা, ব্ল্যাক ম্যাজিক, প্রতারণা, ভয় দেখানো ও ব্ল্যাকমেইলের মতো অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। বিচারক তাদের মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
