ইউক্রেনের সীমান্তে আনুমানিক ১ লাখ সৈন্য সরবরাহ করেছে রাশিয়া। নিজেদের সীমান্ত সংলগ্ন ইউক্রেনের তিন দিকেই দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সীমান্তে এই রুশ সৈন্য মোতায়েনের কারণে পশ্চিমা বিশ্ব আশঙ্কা করছে যে মস্কো যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
কিন্তু আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, নেটো মিত্রদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের দেশকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।
অপরদিকে রাশিয়ার আক্রমণ আসন্ন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর এমন সতর্কতার মধ্যে এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, জাপানও রয়েছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড ফোর্স, বর্ডার গার্ড সার্ভিস এবং জরুরি উদ্ধার তৎপরতা ও সেবাদানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শনিবার একটি অনুশীলনে অংশ নেয়। রাশিয়ার অধিভুক্ত ক্রাইমিয়ার সীমান্তে দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যে এই অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুশীলনে অংশ নিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে। কিন্তু তাদের হামলা ঠেকানো এবং আক্রমণের যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে তা আতঙ্ক তৈরি করতে পারে। হামলা সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য যোগাড় করা তাদের জন্য খুব জরুরি।’
একই ধরনের অনুশীলন ইউক্রেন সীমান্তের অন্যান্য অঞ্চলেও হবে খুব শিগগিরই।
রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে ক্রাইমিয়ার কাছাকাছি ৩০টিরও বেশি জাহাজ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। ব্যাপক পরিসরে নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ এটি।
এদিকে, বেসামরিক জনগণের জন্যও একটি উম্মুক্ত সামরিক প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে ইউক্রেন, যাকে বর্ণনা করা হচ্ছে - ‘আতঙ্কিত হবেন না! প্রস্তুত থাকুন!’
সূত্র : বিবিসি বাংলা, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ