ভারতের কোটি কোটি মানুষ তীব্র দাবদাহে ভুগছেন। ফলে অতিষ্ট হয়েছে তাদের জনজীবন। অনেকেরই হাঁসফাঁস করার দশা। এই দাবদাহ থেকে আপাতত রক্ষা পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভার্চ্যুয়াল আলাপেও বলেছেন, ‘দেশে দ্রুত তাপমাত্রা বাড়ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে আগেই এই তাপমাত্রা বাড়ছে।’
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি সপ্তাহে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
প্রত্যেক বছর ভারতে মে ও জুন মাসে দাবদাহ ঘটনা স্বাভাবিক। তবে এবার মার্চ মাস থেকেই ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা শুরু দেখা যায়। ১২২ বছরের মধ্যে যা রেকর্ড গড়েছে। চলতি মাসের তাপও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
দ্য সেন্টার ফর সায়েন্স ও এনভায়রনমেন্ট নামের পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ভারতের শান্ত আবহাওয়ার শহর হিমাচলসহ ১৫টি রাজ্যে এবার আগাম দাবদাহ হানা দিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ভারতের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াম ছাড়াবে।
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ট্রপিকাল মেটিওরোলজির বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিও কোল জানিয়েছেন, এই দাবদাহের পেছনে আবহাওয়াগত কয়েকটি কারণ থাকলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিও একটা বড় কারণ।
ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্টাডিজের পরিচালক ডি সিভানন্দ পাই জানিয়েছেন, বেশি কংক্রিটের রাস্তা আর ভবন নির্মাণের কারণে তাপ আটকা পড়ায় এই দাবদাহের মাত্রা আরও বাড়ছে। সাথে তিনি বন উজাড় করার মতো ঘটনাকেও দায়ী করছেন।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল