ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। মঙ্গলবার (১০ মে) লক্ষ্ণৌয়ে যোগীর সরকারি বাসভবনে তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।
পরে এক সরকারি সংবাদ বিবৃতি দিয়ে যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানানো হয়- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতির দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ ও কমংসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তার অভিমত বাংলাদেশ উত্তরপ্রদেশের স্বাভাবিক অংশীদার হতেই পারে।
ভারতের হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান- দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হল ভারত। গোটা দেশে ২৪ কোটি মানুষের রাজ্য উত্তরপ্রদেশই হল সবচেয়ে বৃহত্তম ভোক্তা ও শ্রম বাজার। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই রাজ্যটি গোটা দেশে খাদ্য শষ্য ও দুধ উৎপাদনে প্রথম। যার কারণে উত্তরপ্রদেশ থেকে গম, চিনি, দুগ্ধজাত যন্ত্রপাতি, কটন সুতার মত পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়- গত পাঁচ বছরে একটি শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতি হিসাবে উত্তরপ্রদেশ নিজেকে তুলে ধরতে সফল হয়েছে এবং এই সময়কালে একাধিক কাজও হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মাটিতে বাংলাদেশি রপ্তানিকারক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সুযোগ আছে বলেও জানান যোগী। তার অভিমত কাপড় উৎপাদন, বুনন, স্পিনিং এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আস্থা রেখে যোগী আদিত্যনাথ আরও জানান- উত্তরপ্রদেশের সরকার ও এই রাজ্যের মানুষ পারস্পরিক সহযোগিতা ও দক্ষিণ-এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ ও আশাবাদী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ