২ জুলাই, ২০২২ ০৯:২১

হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহাল থাকবে: শি জিনপিং

অনলাইন ডেস্ক

হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহাল থাকবে: শি জিনপিং

জন লির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেছেন, হংকং পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহাল থাকবে। এ নীতি পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। শুক্রবার হংকং সফরে গিয়ে সেখানকার নতুন নেতা জন লির শপথ গ্রহণের পর এ কথা বলেন তিনি।

১৯৯৭ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পায় চীন। শুক্রবার ছিল যুক্তরাজ্য থেকে চীনের কাছে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের ২৫তম বার্ষিকী। দিনটি সামনে রেখে বৃহস্পতিবারই হংকং সফরে যান শি জিন পিং। গতকাল অঞ্চলটির নেতা জন লির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

এ আয়োজনে শি জিন পিং বলেন, হংকং শাসনের ক্ষেত্রে যে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে, তা বজায় থাকবে। এ ধরনের ভালো একটি ব্যবস্থা পাল্টানোর কোনো কারণ নেই। এটি দীর্ঘ মেয়াদে বজায় রাখতে হবে।

করোনা মহামারি শুরুর পর এটাই চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে শি জিন পিংয়ের প্রথম সফর। ২০১৯ সালে হংকংয়ে চীনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল। এরপর এই প্রথম হংকং গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সর্বশেষ ২০১৭ সালে তিনি হংকংয়ে গিয়েছিলেন। চীন ও হংকংয়ের চীনপন্থী সংবাদমাধ্যম তার এ সফরের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার–প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় ভিক্টোরিয়া হারবারে গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে শি জিন পিংসহ উপস্থিত সব কর্মকর্তা মুখে মাস্ক পরেছিলেন এবং একে অপর থেকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা একে অপরের সঙ্গে করমর্দনও করেননি। এ সময় চীন–হংকংয়ের পতাকা উত্তোলন ও সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হস্তান্তর চুক্তি অনুযায়ী হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এর আওতায় হস্তান্তরের ৫০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন, অবাধ ব্যক্তি অধিকার ও বিচারিক স্বাধীনতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছিল চীন।

তবে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো ও চীনের সমালোচকেরা বলেন, ২০১৯ সালের বিক্ষোভের পর বেইজিং ২০২০ সালে হংকংয়ে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করে। এই আইন কার্যকরের মধ্য দিয়ে হংকংয়ে প্রতিশ্রুত স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চীনের সেই প্রতিশ্রুতি মানাতে যা যা করা উচিত, তা–ই করবেন বলে জানিয়েছেন।

যদিও চীন ও হংকং কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, এ নিরাপত্তা আইনের কারণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে শহরটি সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। গতকাল শি জিন পিং বলেছেন, নিরাপত্তা আইনটি হংকংয়ের বাসিন্দাদের ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর